পারিবারিক নিরূপণপত্র রেজিস্ট্রি খরচ, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও নিয়ম

পারিবারিক নিরূপণপত্র রেজিস্ট্রি খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি পারিবারিক সম্পত্তির মালিকানা ও অংশ নির্ধারণে আইনি সুরক্ষা প্রদান করে। এই দলিলের মাধ্যমে পরিবার সদস্যদের মধ্যে সম্পত্তি বণ্টন বা নিরূপণ আইনগতভাবে বৈধ হয়। নিচে ২০২৫ সালের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী রেজিস্ট্রি খরচ, ফি, কর এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।

পারিবারিক নিরূপণপত্র রেজিস্ট্রি খরচ কত?

✅ রেজিস্ট্রেশন ফি: দলিল মূল্যের ১%
✅ স্ট্যাম্প শুল্ক: দলিল মূল্যের ২%
✅ স্থানীয় সরকার কর: ২-৩% নির্ভর করে লোকেশনের উপর
✅ উৎস কর (53H): নির্দিষ্ট এলাকাভেদে ৪%

দলিল রেজিস্ট্রির প্রধান খরচ

১️- রেজিস্ট্রেশন ফি ও স্ট্যাম্প শুল্ক

পারিবারিক নিরূপণপত্র রেজিস্ট্রির জন্য স্ট্যাম্প শুল্ক এবং রেজিস্ট্রেশন ফি অপরিহার্য। স্ট্যাম্প শুল্কের হার দলিল মূল্যের ২% এবং রেজিস্ট্রেশন ফি ১%।

২️- স্থানীয় সরকার কর ও উৎস কর

• সিটি কর্পোরেশন এলাকা: ২%
• সিটি কর্পোরেশনের বাইরে: ৩%
• উত্তরা, বসুন্ধরা, বারিধারা ডিওএইচএস: ৪% উৎস কর
• ধানমন্ডি, লালমাটিয়া, ক্যান্টনমেন্ট: ৪% উৎস কর
  
  

পারিবারিক নিরূপণপত্র রেজিস্ট্রি করতে যা লাগবে

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

1. মূল দলিলের কপি
2. অংশীদারদের জাতীয় পরিচয়পত্রের (NID) ফটোকপি
3. সম্পত্তির আপডেট খতিয়ান / নামজারি সনদ
4. জমির সর্বশেষ খাজনা রশিদ
5. পরিবারের সকল সদস্যের সম্মতিপত্র
6. পে-অর্ডার / ব্যাংক ড্রাফট (স্ট্যাম্প ও রেজিস্ট্রি ফি বাবদ)

কোথায় রেজিস্ট্রি করতে হবে

• সংশ্লিষ্ট উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস বা সিটি রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে দলিল রেজিস্ট্রি করতে হবে।
• দলিলের খসড়া সাধারণত লাইসেন্সপ্রাপ্ত আইনজীবী বা ড্রাফ্টসম্যান দ্বারা প্রস্তুত করা হয়।
• রেজিস্ট্রির আগে সংশ্লিষ্ট অফিস থেকে দলিলের ভ্যালুয়েশন সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে।

পারিবারিক নিরূপণপত্র রেজিস্ট্রি খরচ কোথায় জমা দিতে হবে?

✔ নগদ বা ব্যাংক পে-অর্ডার
✔ স্ট্যাম্প ও রেজিস্ট্রেশন অফিসে পরিশোধ করতে হবে

পারিবারিক নিরূপণপত্র রেজিস্ট্রির উদ্দেশ্য

• পরিবার সদস্যদের মধ্যে সম্পত্তি বণ্টনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা
• ভবিষ্যতে মালিকানা সংক্রান্ত বিরোধ এড়ানো
• আইনি ভিত্তিতে সম্পত্তি ভাগাভাগি বৈধ করা
• সম্পত্তির পরবর্তী হস্তান্তর বা বিক্রয় সহজ করা

উপসংহার:

পারিবারিক নিরূপণপত্র রেজিস্ট্রি খরচের বিষয়টি বুঝতে গেলে স্ট্যাম্প শুল্ক, রেজিস্ট্রেশন ফি, স্থানীয় কর ও উৎস কর সম্পর্কে জানা জরুরি।