যদি কোনো ব্যক্তি অবৈধভাবে ভূমি দখল করেন বা আদালত বা কর্তৃপক্ষের আদেশ ব্যতীত তার দখলীয় ভূমি থেকে উচ্ছেদ হন, তাহলে দখল পুনরুদ্ধারের জন্য তাকে নিচের পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে হবে। ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩ অনুযায়ী এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়।
অবৈধভাবে ভূমি দখল পুনরুদ্ধার: ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩ এর ৮ ধারা
ধারা ৮: অবৈধভাবে দখলচ্যুত ব্যক্তির দখল পুনরুদ্ধার
(১) যদি কোনো ব্যক্তিকে উপযুক্ত আদালত বা কর্তৃপক্ষের আদেশ ব্যতীত তার দখলীয় ভূমি থেকে উচ্ছেদ করা হয়, তিনি অবৈধভাবে ভূমি দখল পুনরুদ্ধার করতে পারেন সংশ্লিষ্ট অধিক্ষেত্রের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করে।
(২) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট যদি সন্তুষ্ট হন যে, অভিযোগকারীকে আইনানুগ প্রক্রিয়া ছাড়া উচ্ছেদ করা হয়েছে, তাহলে তিনি দখল পুনরুদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় আদেশ দেবেন এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
(৩) এই প্রক্রিয়ায় উভয়পক্ষের বক্তব্য গ্রহণ ও সরেজমিন তদন্ত করতে হবে। যদি কোনো পক্ষ নোটিশ জারি করার পরেও অনুপস্থিত থাকে, তাহলে লিখিত আদেশ প্রদান করা হবে।
(৪) আবেদন প্রাপ্তির পর তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। কোনো কর্মকর্তা যদি অসহযোগিতা করে, তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(৫) সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি নিজে বা তার নিয়োজিত প্রতিনিধির মাধ্যমে মামলা পরিচালনা করতে পারেন।
(৬) জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এই ধারা কার্যকর করার জন্য এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন করতে পারেন।
(৭) যদি দখল পুনরুদ্ধার সংক্রান্ত কোনো মামলা আদালতে বিচারাধীন থাকে, তবে একই বিষয়ে এই ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না। তবে আদালত প্রয়োজন হলে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে প্রেরণ করতে পারে।
(৮) অন্যান্য পদ্ধতি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হবে। বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ১৪৫ অনুসরণ করা হবে।
তথ্যসূত্র
- ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩
- ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ১৪৫ ধারা