খাস জমি রেকর্ড করার নিয়ম জানতে চান? খাস জমি এমন জমি যা কোনো ব্যক্তিগত মালিকানা ছাড়া সরাসরি সরকারি নিয়ন্ত্রণে থাকে। এখানে আমরা সহজভাবে বর্ণনা করবো কিভাবে খাস জমি রেকর্ড করা যায় এবং এই প্রক্রিয়ায় কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে।

খাস জমি রেকর্ডের ধাপ:
১. আবেদন জমা দেওয়া: প্রথমে আপনাকে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন জমা দিতে হবে। এরপর, যদি আবেদন অনুমোদিত হয়, তাহলে আপনি ৯৯ বছরের জন্য খাস জমি লিজ নিতে পারবেন। লিজ পাওয়ার পরে, ভূমি অফিসের ওয়েবসাইট https://mutation.land.gov.bd অথবা এসি ল্যান্ড অফিসে গিয়ে নামজারি আবেদন করতে হবে।
২. খরচ: এই প্রক্রিয়ার জন্য মোট ১১৭০ টাকা খরচ হবে। এর মধ্যে ২০ টাকা কোর্ট ফি, ৫০ টাকা প্রসেসিং ফি, এবং ১১০০ টাকা ডিসিয়ার ফি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
৩. নামজারি: একবার খাস জমি রেকর্ড করার নিয়ম অনুসারে নামজারি সম্পন্ন হলে, জমিটি আপনার নামে নথিভুক্ত হবে। ফলে, আপনি এটি ৯৯ বছর পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন।
খাস জমি বন্দোবস্তের শর্ত:
- ভূমিহীনতা: জমি বন্দোবস্ত পেতে হলে, আপনাকে ভূমিহীন হতে হবে বা সর্বাধিক ১০ শতকের জমি থাকতে হবে।
- জমির প্রকার: কৃষি অথবা অকৃষি জমির ক্ষেত্রে এই বন্দোবস্ত প্রযোজ্য হতে পারে।
- রেকর্ড শর্ত: জেলা প্রশাসকের অধীনে থাকা জমিগুলি নির্দিষ্ট শর্ত পূরণের মাধ্যমে আপনার নামে রেকর্ড করা যাবে।
লিজ নেওয়ার আবেদন প্রক্রিয়া:
খাস জমি লিজ নেয়ার জন্য আপনাকে ৯৯ বছরের জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদন ফরম পূরণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা দিন। লিজ পাওয়ার পর, জমিটি আপনার নামে নথিভুক্ত করার জন্য নামজারি আবেদন করতে হবে। আবেদন প্রক্রিয়া অনলাইনে অথবা সরাসরি করা সম্ভব।
খাস জমির মালিকানা:
প্রত্যেক খাস জমি সরকারের মালিকানায় থাকে। জমির রেকর্ড ও ব্যবস্থাপনা জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। একবার খাস জমি রেকর্ড করার নিয়ম অনুযায়ী নথিভুক্ত হলে, জমিটি ৯৯ বছরের জন্য আপনার ব্যবহারের অধীনে থাকবে। হলে, জমিটি ৯৯ বছরের জন্য আপনার ব্যবহারের অধীনে থাকবে।
এরপর, চাইলে উক্ত জমিটি আবারও লিজ রিনিউ করে নিতে পারবেন। খাস জমি লিজ নেওয়ার আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে পারবেন এখানে ক্লিক করে।
জমি সংক্রান্ত বিষয়গুলা বিস্তারিত দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।