আমরা সকলেই আর্থিক লেনদেনের জন্য চেক ব্যবহার করতে পছন্দ করি। যদিও এটি সহজ এবং ঝুঁকিমুক্ত একটি পদ্ধতি, তবে চেক ডিজঅনারের ফলে মামলা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই চেক মামলা থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় জানতে, এই লেখাটি পড়ুন।
চেক ডিজঅনার মামলা কি?
ধরুন, রহিম নামের এক ব্যক্তি করিম থেকে টাকা ধার নিয়েছেন এবং এর বিনিময়ে করিমকে একটি চেক দিয়েছেন। করিম যখন সেই চেক নিয়ে ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে যান, তখন ব্যাংক থেকে জানানো হয় যে, অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা নেই। ব্যাংক থেকে চেকটি ফেরত দেওয়ার এই প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় চেক ডিজঅনার।
যখন করিম চেকের মাধ্যমে টাকা আদায় করতে না পেরে আদালতে মামলা দায়ের করেন, তখন সেটি চেক ডিজঅনার মামলা হিসেবে পরিচিত।
চেক ডিজঅনারের পূর্ব শর্ত
১. চেক ইস্যুর তারিখ থেকে ৬ মাসের মধ্যে ডিজঅনার হতে হবে। ২. ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত টাকা না থাকলে চেক ডিজঅনার করানো যাবে। ৩. ব্যাংকিং সময়ের মধ্যে চেক ডিজঅনার করাতে হবে।
চেকের মামলা করার পূর্ব শর্ত
১. ব্যাংক থেকে চেক ডিজঅনার করিয়ে আনতে হবে। ২. চেক ইস্যুর তারিখ থেকে ৬ মাসের মধ্যে ডিজঅনার করাতে হবে। ৩. উকিল নোটিশের মাধ্যমে ৩০ দিনের সময় দিয়ে টাকা পরিশোধের অনুরোধ করতে হবে। ৪. উকিল নোটিশের পর ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করলে মামলা দায়ের করতে হবে।
চেক মামলা থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়
চেক মামলার প্রতারণা থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা। তবে যদি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা সম্ভব না হয়, তাহলে আপনাকে অবশ্যই একজন দক্ষ অ্যাডভোকেটের শরনাপন্ন হতে হবে।
আপনি যদি প্রতারণার সাথে জড়িত না থাকেন, তাহলে আইনের মাধ্যমেই এই মামলা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। দুটি আইনের মাধ্যমে চেক মামলার প্রতারণা থেকে বাঁচা সম্ভব:
- হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন ১৮৮১ এর ১৩৮ ধারা।
- দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ৪০৬ এবং ৪২০ ধারা।
উপসংহার
চেক মামলা থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা অবশ্যই স্থানীয়ভাবে মীমাংসার মাধ্যমে করতে হবে। তবে, লেনদেনের সময় সতর্ক থাকা উচিত, যাতে পরবর্তীতে এই ধরনের সমস্যায় না পড়তে হয়।